লোকসানি রিং শাইনের পরিচালন ব্যয় জোগাতে রিজার্ভে হাত

Date: 2023-03-29 10:00:39
লোকসানি রিং শাইনের পরিচালন ব্যয় জোগাতে রিজার্ভে হাত
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রিং শাইন টেক্সটাইল লোকসানে ডুবেছে। লোকসান পরিমান এতো বেশি যে, কোম্পানিটির সুষ্ঠভাবে পরিচালন ব্যয় জোগাতে রিজার্ভ (জমিয়ে রাখা অর্থ) বা ব্যাংক লোনের দিকে ঝুঁকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা।তারা বলছেন, রিং শাইন সর্বশেষ দুই প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। ২য় প্রান্তিকে বা ৩ মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান পরিমান দাঁড়ায় ১৯ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ২০৮ কোটি টাকা। এছাড়া কোম্পানিটিকে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের লোনের বোঝা। সবমিলিয়ে বেকায়দায় পড়েছে কোম্পানিটি। এমন অবস্থায় কোম্পানির প্রতিদিনের পরিচালন ব্যয় জোগাতে রিজার্ভ ভাঙ্গতে হবে, নইলে ব্যাংক লোনের দিকে ঝুঁকতে হবে বলে জানান তারা।এদিকে রিং শাইনের দ্বিতীয় প্রান্তিক বা শেষ তিন মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান বেড়েছে ১০২ শতাংশ। আর দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাস (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সাল) হিসেবে লোকসান বেড়েছে ১২৩ শতাংশ। কোম্পানিটি দুই প্রান্তিকেই লোকসান পরিমান গুনতে হয়েছে। যদিও আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১ সাল) লোকসান পরিমান কম ছিল।রিং শাইন চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে দশমিক ৭৬ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল দশমিক ৩৪ টাকা। এ হিসাবে লোকসান বেড়েছে দশমিক ৪২ টাকা বা ১২৩ শতাংশ।এই কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে দশমিক ৩৮ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল দশমিক শূন্য ১ টাকা। এ হিসাবে লোকসান পরিমান বেড়েছে দশমিক ৩৯ টাকা বা ১০২ শতাংশ। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ৩ দশমিক ২৩ টাকায়। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এ তথ্য জানা যায়।লোকসান প্রসঙ্গে রিং শাইন কোম্পানির সচিব অনিরুদ্ধ পিয়ালকে মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক কোম্পানিটির এক কর্মকর্তা বলেন, ডলারের রেট অস্বাভাবিক বেড়েছে। আবার দীর্ঘদিন আমাদের এলসি বন্ধ ছিল। এসব কারনে রিং শাইন মুনাফায় ধস নামে।কোম্পানির প্রতিদিনের পরিচালন ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ব্যাংকে রিং শাইনের মোটা অংকের লোন রয়েছে। এতো লোনের পর নতুন করে আরো লোন পাওয়া অনিশ্চিত। তাই ব্যাংক লোন পাবো, সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে কোম্পানিটিতে ২শ কোটি টাকার বেশি রিজার্ভ রয়েছে। তাই লোন না করেও রিজার্ভ দিয়ে আমাদের ব্যয় কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Share this news