লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রযুক্তি খাতের চাহিদা বেশি
বেশিরভাগ কার্যদিবসে পতন হওয়ায় গত সপ্তাহে সূচকের পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে, লেনদেন ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল।গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশের বেশি হয়েছে প্রযুক্তি খাতে। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে আলোচ্য খাত লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এতে খাতটিতে শেয়ারদরের সবচেয়ে বেশি উত্থান হয়েছে। শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ এবং সিমেন্ট খাতের শেয়ার।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রযুক্তি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ বা ১০০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এতে খাতটিতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে গত সপ্তাহে তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৯৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। খাতটিতে গত সপ্তাহে ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাত।লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বা সাড়ে ৯৬৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর বিপরীতে খাতটিতে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ১০ শতাংশ বা সাড়ে ৭০৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদরের পতন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৩ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বা ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজার মূলধনের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭ দশমিক ২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ২ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে নেমেছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে।ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১২৯টির। ২২৩টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।