লেনদেনে শীর্ষ বিমা খাতে দর বেড়েছে বেশি

Date: 2023-03-13 17:00:11
লেনদেনে শীর্ষ বিমা খাতে দর বেড়েছে বেশি
পুঁজিবাজারে নামমাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেন এখনও ৪০০ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। একই সঙ্গে খাতটি লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে ছিল। দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। আইটি এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত দর বৃদ্ধিও তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল। এদিন বিনিয়োগকারীদের বিমুখ এবং শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিনখাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪৮টির দর বেড়েছে, ১টির কমেছে এবং বাকিগুলো অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। এ খাতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলো অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। খাতটিতে লেনদেন হওয়া ২১টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং ৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে শেয়ার বেড়েছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। লেনদেন হওয়া ৪টি শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল ও বাকি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং সিমেন্ট খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪৫১ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৩ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৯৫টি এবং কমেছে ৩৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০১টির।অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ২০ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৮টি, কমেছে ৩১টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮৯টির।এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪০০ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ২ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩০ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট ও সিএসআই দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২২ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৩৬ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।

Share this news