লেনদেনে গতি ফেরাতে ব্লুচিপ শেয়ারের ফ্লোর উঠানোর দাবি
শেয়ারবাজারে টানা পতনে প্রতিদিনই লেনদেন কমছে। হাতে গোনা কিছু কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের ওপরে লেনদেন হচ্ছিল। সেগুলোও প্রতিদিনই কিছু কিছু করে ফ্লোর প্রাইসে ফিরতে শুরু করেছে।বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, পতন প্রবণতা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকলে সেসব কোম্পানির শেয়ারও ফ্লোরে ফিরে আসবে। তখন হয়তো লেনদেন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে, এমনটাই শঙ্কা প্রকাশ করছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা।বাজারের লেনদেন তলানিতে নেমে আসায় মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ার থেকে ফ্লোর প্রাইস থেকে তুলে দিলে বাজারে কিছুটা গতি ফিরতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাঁরা বলছেন, ডিএসই-৩০ থাকা ফান্ডামেন্টাল কোম্পানিগুলোর বিষয়ে বিএসইসি ভাবতে পারে।শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ এ বিষয়ে শেয়ারনিউজকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে শেয়ারবাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। কারণ এভাবে শেয়ারবাজার চলতে পারে না। ক্রমাগত ফ্লোর প্রাইসের কোম্পানিগুলোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।যদি একবারে সবগুলো কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ভালো ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ার থেকে ক্রমাগত ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া উচিৎ। এতে করে শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি ফিরে আসবে। শেয়ারবাজারে একবার গতি ফিরে এলে সেই গতির সাথে অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারেও ক্রেতা ফিরতে শুরু করবে বলে মনে করেন তিনি।অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, অন্তত পক্ষে শেয়ারবাজারের ভালো কোম্পানি বলে আমরা যে শেয়ারগুলোকে জানি, ডিএসই-৩০ শেয়ারগুলো থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হোক। এতে করে শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি বৃদ্ধি পাবে।