লেনদেনে বিমা খাতে উত্থান
![লেনদেনে বিমা খাতে উত্থান](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5695/bima.png)
:দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। খাতটি লেনদেনেও শীর্ষ স্থানে ছিল। এতে টাকার অঙ্কে ডিএসইর মোট লেনদেনের বড় অংশ এ খাতে হয়েছে। অন্যদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। কিন্তু খাতটি গতকাল লেনদেনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২৯টির দর বেড়েছে এবং ২০টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে ও ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাত। এ খাতে লেনদেন হওয়া ৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ২টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড, বিবিধ, ব্যাংক, প্রকৌশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কাগজ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা পাট খাতে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করে চতুর্থ স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানেথাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪২০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৫৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৮টির। কমেছে ৮০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮২টির।দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৪০টি, কমেছে ৪০টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৮টির।এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১০ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ০০৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০৫ দশমিক ৪২ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৯২ দশমিক ৪০ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে।