লেনদেন কমে ৫০০ কোটি টাকার নিচে

দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে এদিন লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ১৫০ কোটি টাকার বেশি কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে পতনেও কেনার চাপ ও আগ্রহ বেশি থাকায় বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদিন শুধু আলোচ্য খাতটিতে দর বেড়েছে। এদিকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা বস্ত্র খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে এবং পাঁচটি শেয়ারের দাম কমেছে। টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।গতকাল শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে ভ্রমণ খাতে। এ খাতে দুই শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে জীবন বিমা খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। শেয়ারদর কমার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। খাতটিতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য খাতে। খাতটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাজারটিতে ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট আট কোটি ৯৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৪ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন দাম বেড়েছে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৯৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৩টির।ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দুই দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক আট দশমিক ৪৩ পয়েন্ট ৩ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫২ পয়েন্টে।অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৩১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৭০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৬৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭২টির দাম।দিন শেষে সিএসইতে ১৮ কোটি ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ৪১০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।