ক্যাশ ফ্লো কমেছে ফার্মা ও রসায়ন খাতের ১৫ কোম্পানির
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টি কোম্পানি ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো কমেছে। ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১১টির। একটি কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ। আর ছয়টি কোম্পানি নিরীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। দুটি কোম্পানি ডিসেম্বর ও মার্চ ক্লোজিংয়ের। কোম্পানি দুটি হলো- রেকিট বেনকিজার ও ম্যারিকো বাংলাদেশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো কমা ১৫টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এসিআই ফর্মুলেশন, একমি ল্যাবরেটরিজ, একমি পেস্টিসাইডস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, সেন্ট্রাল ফার্মা, ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ. কোহিনূর কেমিক্যাল, ওরিয়ন ফার্মা, ফার্মা এইডস, রেকিট বেনকিজার রেনাটা ফার্মা এবং সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।এসিআই ফর্মুলেশনস: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১২ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা।এক্মি ল্যাবরেটরিজ: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১২ টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমছে ৭ টাকা ৩৫ পয়সা।একমি পেস্টিসাইড: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৮৫ পয়সা।অ্যাডভেন্ট ফার্মা: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ০১ পয়সা।বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ০১ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ০১ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছে।ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৭ টাকা ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৪ টাকা ২৭ পয়সা।ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৫১ পয়সা।জেএমআই সিরিঞ্জ: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৮ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।কোহিনূর ক্যামিকেলস্: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৬ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৫ টাকা ৬৬ পয়সা।ওরিয়ন ফার্মা: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ০৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৬ টাকা ১১ পয়সা।ফার্মা এইডস: কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১০ টাকা ০৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৭৮ পয়সা।রেকিট বেনকিজার: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৩৪ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২৯০ টাকা ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ১৫৫ টাকা ৬৭ পয়সা।রেনেটা: ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ০৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ১২ টাকা ২৩ পয়সা।সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস: কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ কমেছে ৮৫ পয়সা।ফার্মা খাতে ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ থাকা একমাত্র কোম্পানি এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছে।আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা ছয় কোম্পানির মধ্যে রয়েছে কেয়া কসমেটিক্স, লিব্রা ইনফিউশনস, এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, গ্লোবাল হেভি এবং ইমাম বাটন লিমিটেড