কয়েকটি জীবন বিমার অবস্থা খুবই নাজুক

Date: 2023-03-15 14:00:13
কয়েকটি জীবন বিমার অবস্থা খুবই নাজুক
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেছেন, কয়েকটি জীবন বীমা কোম্পানির অবস্থা খুবই নাজুক।আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, দুটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ, সেগুলো এখনই বন্ধ করা উচিত।তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বন্ধ করা হলে তারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বন্ধের পরিবর্তে কঠোর মনিটরিং ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে কোম্পানিগুলোকে সংকট থেকে বের করে আনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কাজ না হলে বন্ধ করে দেওয়ার পথেই হাঁটতে হবে।’বুধবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর পুঁজিবাজার সাংবাদিক ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রাজধানীর পল্টনে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে পুঁজিবাজার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বীমা খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সমস্যাও কম নয়। এর মধ্যে কমপ্লায়েন্স ইস্যু না মানা সবচেয়ে বড় সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে কমপ্লায়েন্স না থাকায় অনেক কোম্পানিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি শিকড় গেড়েছে। অনেক কোম্পানিতে অপচয়, অপব্যবহার, এমনকি গ্রাহক ও কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের ঘটনাও ঘটেছে। সমস্যা সমাধানে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।’জয়নুল বারী বলেন, ‘যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। কোম্পানির সম্পদ বিক্রি হয়ে গেলেও, গ্রাহককে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বকেয়া। নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনে কোম্পানির বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে।’তিনি বলেন, বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন বা সম্পদ আত্মসাৎ করার সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। বীমা খাতের বিদ্যমান সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। আর এটা আইডিআরএর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বীমা আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা দেখেছি কোথাও কোথাও অসঙ্গতি রয়েছে, রয়েছে নানা অস্পষ্টতা। অনেক ধারায় প্রবিধানের কথা বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে অপ্রয়োগযোগ্য। তাই বীমা আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই সংশোধনীর খসড়া তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘বীমা খাতের বেশিরভাগ দুর্নীতি জমি কেনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। দেখা গেছে ১ কোটি টাকার একটি সম্পদ ৩০ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে। এমনকি ১০ বা ১৫ বছর পরেও যে ক্রয়মূল্যের অর্ধেক দামে জমি বিক্রি করা যাবে না। তাই খুব জরুরি না হলে এবং মূল্য যুক্তিসঙ্গত না হলে কোনো কোম্পানিকে জমি কেনার অনুমতি দেওয়া হয় না।’আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বীমা খাতের অনুপ্রবেশের দিক থেকে আমরা ভারতসহ অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছি। এই অনুপ্রবেশ বাড়াতে নতুন পণ্য চালু করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে।

Share this news