ক্রয়চাপ বেশি কাগজ খাতে, লেনদেন কমেছে ভ্রমণে
![ক্রয়চাপ বেশি কাগজ খাতে, লেনদেন কমেছে ভ্রমণে](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/6659/Sharebiz.net-bazar.jpg)
দেশের পুঁজিবাজারে প্রধান প্রধান সূচক নামমাত্র বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের নামমাত্র উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। অন্যদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির কমেছে। ১ দশমিক ১০ শতাংশ করে দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, সিমেন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় ভ্রমণ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপর স্থানে থাকা জীবন বীমা খাতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া সেবা ও আবাসন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৬১২ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৪ দশমিক ২০ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৮ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬০টি এবং কমেছে ৫৮টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০৫টির।অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৭ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৩৩টি, কমেছে ৩৯টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৩টির।এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট ও সিএসআই দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৭৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫০ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৭১ দশমিক ১১ পয়েন্টে।