ক্রয়চাপ বেশি আইটি খাতে, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

Date: 2023-03-29 17:00:15
ক্রয়চাপ বেশি আইটি খাতে, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক নামমাত্র বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সে সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে স্থানে ছিল। অপরদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকোশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া সেবা খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৯৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৭ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৬ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮০টি এবং কমেছে ২৭টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯৮টির।অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৯৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ২১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৫টির।এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৭৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ২৯ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স ১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ১১ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩২৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে ও ১০ হাজার ৯৫৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই শূন্য দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৭ দশমিক ৬২ পয়েন্টে।

Share this news