কনডেন্সড মিল্কের সঙ্গে সমানতালে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজেও বিভিন্ন অনিয়ম

Date: 2023-01-22 20:00:11
কনডেন্সড মিল্কের সঙ্গে সমানতালে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজেও বিভিন্ন অনিয়ম
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একই উদ্যোক্তা/পরিচালকবদের কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। দুটি কোম্পানিরই বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাই বলে থেমে নেই অনিয়ম। কোম্পানি দুটিকে উৎপাদনে ফেরানোর চেষ্টার পরিবর্তে সমানতালে চলছে অনিয়ম।মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক ঋণ হিসেবে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কিন্তু আপডেট ব্যাংক স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় সত্যতা যাচাই করা যায়নি। এছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি করা ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার মজুদ পণ্যের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ করেছেন নিরীক্ষক।এদিকে কোম্পানিতে নগদ ৩৫ লাখ টাকা আছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করলেও তা নিরীক্ষক দ্ধারা যাচাই করা হয়নি। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সয়াবিন তেল কেনার জন্য অগ্রিম ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেখিয়ে আসলেও বিশ্বাস করার মতো কোন ডকুমেন্ট পায়নি নিরীক্ষক।তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অনেক বছর আগে ঘোষণা করা লভ্যাংশের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা এখনো প্রদান করেনি। এছাড়া শ্রম আইন অনুযায়ি গঠন করা ওয়াকার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) ৩৩ লাখ টাকা প্রদান করেনি।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট ৩৭ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। যে কোম্পানিটি কয়েক বছর ধরে লোকসানে রয়েছে এবং ঋণাত্মক ইক্যুইটি, ঋণাত্মক সংরক্ষিত আয় ও ঋণাত্মক সম্পদ দেখিয়ে আসছে। এই অবস্থায় কোম্পানিটির ব্যবসায় ফিরে আসা নিয়ে খুবই শঙ্কা তৈরী করেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যে কোম্পানিটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ অনুযায়ি, ডেফার্ড ট্যাক্স হিসাব করে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।উল্লেখ্য, ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের হাতে। রবিবার (২২ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩৪.৫০ টাকায়।

Share this news