‘কম সময়ে মুনাফার জন্য বীমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ’

Date: 2023-09-30 17:00:08
‘কম সময়ে মুনাফার জন্য বীমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ’
পুঁজিবাজারে গত কয়েক মাস ধরে লেনদেন খরা ও সূচকের বেশি ওঠানামার মধ্যে বীমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে গত আগস্টে আগের মাসের চেয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন ৪৪ শতাংশ কমলেও সর্বশেষ সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে লেনদেন ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। মূলত কিছু খাত বিশেষ করে বীমা খাতের শেয়ারকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। পুঁজিবাজার মাসিক পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।জানা যায়, গত জুনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। পরের মাসে এ লেনদেনের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৭ কোটি ২০ লাখ ডলারে। গত আগস্টে তা আরো কমে ৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন বাড়লেও এ সময়ে ডিএসইর সূচক কমেছে। এর মধ্যে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগস্ট শেষে ছিল ৬ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে, সেপ্টেম্বর শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে।বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা ও সামষ্টিক অর্থনীতির সংকটের প্রভাব গত মাসেও পুঁজিবাজারে পরিলক্ষিত হয়েছে। তবু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বীমা খাতের শেয়ার নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে এবং পুরো মাসই দৈনিক লেনদেনে বীমা খাতের শেয়ারের আধিপত্য ছিল। কম সময়ে মুনাফা করার জন্য বিনিয়োগকারীরা বীমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। তবে সাবধানী বিনিয়োগকারীরা বেশিদিন বিনিয়োগ ধরে না রেখে মুনাফা তুলে নিতে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে লেনদেন বাড়ার প্রভাব বাজারে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।এদিকে গত সপ্তাহের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময়ে ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ৪০ শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৩১০ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে কমে ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪০৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ১১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ৩৭টির।ডিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ১ হাজার ৮১৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪ হাজার ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৫৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৮০০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

Share this news