খাদ্য খাতে পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ সাত কোম্পানির
শেয়ারবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে মূলধনের চেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে ৭টি কোম্পানির, মূলধনের চেয়ে কম রিজার্ভ ৭টি কোম্পানির। আর রিজার্ভ নেগেটিভ রয়েছে ৭টি কোম্পানির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।মূলধনের বেশি রিজার্ভ থাকা ৭টি কোম্পানি হলো: এমসিএল-প্রাণ, অ্যাপেক্স ফুড, বঙ্গজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো-বিএটিবিসি, ন্যাশনাল টি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড।পরিশোধিত মূলধনের কম রিজার্ভ থাকা ৭ কোম্পানি হলো- বিডি থাই ফুড, বিচ হ্যাচারি, এমারেন্ড ওয়েল, ফাইন ফুড, জেমিনি সী ফুড, গ্লোবাল হার্ভেস্ট ও লাভেলো আইসক্রীম।আর রিজার্ভ নেগেটিভ থাকা ৭ কোম্পানি হলো-ফুওয়াং ফুড, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মেঘনা পেট, রহিমা ফুড, রংপুর ফাউন্ড্রি-আরডি ফুড, শ্যামপুর সুগার ও জিলবাংলা সুগার মিল।মূলধনের বেশি রিজার্ভের ৭ কোম্পানি:ইউনিলিভার: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১২ কোটি ৫ লাখ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ১৩৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ১১.২৮ গুণ।ন্যাশনাল টি: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ৩.৮৭ গুণ।অ্যাপেক্স ফুডস: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ৭.৯৪ গুণ।এএমসিএল প্রাণ: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ৭.১৫ গুণ।ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩১৩৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ৫.৮১ গুণ।অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৭৩৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ৩.৬৮ গুণ।বঙ্গজ লিমিটেড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বেশি রিজার্ভ রয়েছে ১.০৮ গুণ।মূলধনের কম রিজার্ভের ৭ কোম্পানি:বিডি থাই ফুড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.৪১ গুণ।গোল্ডেন হার্ভেস্ট: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ২১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৭৬ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.৩৫ গুণ।লাভেলো আইসক্রমী: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.২৮ গুণ।ফাইন ফুড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৮৯ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.০৬ গুণ।এমারেন্ড ওয়েল: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৫৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.০৬ গুণ।বিচ হ্যাচারি: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.০৫ গুণ।জেমিনি সী ফুড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৫ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ০.০০৮ গুণ।রিজার্ভ নেগেটিভের ৭ কোম্পানি:ফুওয়াং ফুড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ বা মাইনাস রিজার্ভ রয়েছে ৭৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।মেঘনা কনডেন্স মিল্ক: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৬ কোটি টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।মেঘনা পেট: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১২ কোটি টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ১৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা।রহিমা ফুড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ২০ কোটি টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ৯৫ লাখ টাকা।আরডি ফুড: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৭৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ১ লাখ টাকা।শ্যামপুর সুগার: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৫ কোটি টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ৫৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।জিলবাংলা সুগার: কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৬ কোটি টাকা। বিপরীতে নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ৫৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড:কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বশেষ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ডিভিডেন্ড দিয়েছে বিএটিবিসি। কোম্পানিটি সর্বশেষ অর্থবছরে ডিভিডেন্ড দিয়েছে ২৭৫ শতাংশ ক্যাশ। এরপর রয়েছে ইউনিলিভার ২৪০ শতাংশ ক্যাশ ও ৬০ শতাংশ বোনাস, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ ৪৫ শতাংশ ক্যাশ, জেমিনি সী ফুড ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩০ শতাংশ বোনাস, এএমসিএল-প্রাণ ৩২ শতাংশ ক্যাশ, অ্যাপেক্স ফুড ২০ শতাংশ ক্যাশ, লাভেলো আইসক্রীম ১২ শতাংশ ক্যাশ, এনটিসি ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ, রহিমা ফুড ৫ শতাংশ ক্যাশ, আরডি ফুড ৫ শতাংশ ক্যাশ, বঙ্গজ ৩ শতাংশ ক্যাশ, বিডি থাই ফুড ৩ শতাংশ ক্যাশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট ২ শতাংশ ক্যাশ ও ফাইন ফুড ১.৫০ শতাংশ ক্যাশ।এদিকে, বিচ হ্যাচারি, ইমারেন্ড অয়েল, ফুওয়াং ফুড, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মেঘনা পেট, শ্যামপুর সুগার ও জিলবাংলা সুগার কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।