খাদ্য খাতে মুনাফা কমেছে ১০ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে এই পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৭টি কোম্পানি। এরমধ্যে মুনাফায় অবনতি হয়েছে ১০টি কোম্পানির। যেগুলোর মধ্যে ৫টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে এবং ৫টির লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।মুনাফায় অবনতি হওয়া ১০ কোম্পানি হলো- এএমসিএল প্রাণ, এ্যাপেক্স ফুডস, বিডি থাই ফুড, ফু ওয়াং ফুড, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমা ফুড কর্পোরেশন, শ্যামপুর সুগার ও জিলবাংলা সুগার মিল লিমিটেড।এএমসিএল প্রাণঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৮৭ পয়সা।এ্যাপেক্স ফুডসঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা।বিডি থাই ফুডঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা।অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৯৩ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ২৬ পয়সা।রহিমা ফুডঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা।ফু-ওয়াং ফুডঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১০ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ পয়সা।ন্যাশনাল টিঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৩৬ টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৪০ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।লোকসান বাড়ার ৩টি কোম্পানি হলো- গোল্ডেন হার্ভেস্ট, শ্যামপুর সুগার এবং জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড।গোল্ডেন হার্ভেস্টঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০১ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ০৪ পয়সা।শ্যামপুর সুগারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১০ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৭ টাকা ৩৯ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ০৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৬ টাকা ৬৯ পয়সা।জিলবাংলা সুগারঅর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১৬ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৩৬ টাকা ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩২ টাকা ৮৪ পয়সা।এদিকে, খাদ্য খাতের ৪টি কোম্পানি এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কোম্পানিগুলো হলো- বিএটিবিসি, বীচ হ্যাচারী, এমারেল্ড অয়েল এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড।এরমধ্যে বিএটিবিসি ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানি বিধায় কোম্পানি দুটি ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রস্তুতিতে রয়েছে।অন্যদিকে, মেঘনা পেটের লোকসান অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে প্রায় সাড়ে ০৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়েও লোকসান ছিল প্রায় সাড়ে ০৫ পয়সা।অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ০১ পয়সার বেশি। আগের বছরও একই সময়ে লোকসান ছিল ০১ পয়সার বেশি।