কেয়া কসমেটিকসের আর্থিক প্রতিবেদনের বিশেষ নিরীক্ষা
শেয়ারবাজারে ফার্মা ও রসায়ন খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের বিশেষ নিরীক্ষা পরিচালনা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।বিএসইসি নিজস্ব খরচে বিশেষ অডিট পরিচালনার জন্য নিবন্ধিত এবং তালিকাভুক্ত অডিট ফার্মগুলির কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে।এর আগে গত এপ্রিলে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে কিছু ঘাটতি উল্লেখ করে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিএসইসি বিশেষ নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অডিট ফার্ম নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ জুন, ২০১৭ হিসাব বছর থেকে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছর পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের জন্য বিশেষ নিরীক্ষা করতে হবে।কেয়া কসমেটিকসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, টানা তিন বছর এজিএম না করার পর কোম্পানি আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে গত বছরের ১৯ জুন এজিএম করে কোম্পানিটি। ওই তিন বছরের মধ্যে দুই বছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড না দেওয়ার সুপারিশ করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। শুধু ২০২০ সালের জন্য ২ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ডের সুপারিশ করে।কিন্তু আইনি জটিলতা এড়াতে ২ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড থেকে সরে যায় কোম্পানিটি। এর পরিবর্তে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন পায়। এভাবে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগরি থেকে বের হয়ে বি ক্যাটাগরিভুক্ত হয়। তারপর থেকে কোম্পানিটি আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এক হাজার ১০২ কোটি টাকা। বিপরীতে পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ৮৫ কোটি টাকার বেশি।২০১৯ সালে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১২ টাকা ৯৪ টাকা নিট লোকসানের পর ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ২১ পয়সা নিট মুনাফা করার তথ্য দেয় কোম্পানিটি।