কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ বা এক্সিম ব্যাংকের সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করার সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ-সম্পর্কিত সম্মতিপত্র পাওয়ার পর গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ জানিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। ১৮ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা থেকে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশের সুপারিশ করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এক্সিম ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩২ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩২ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২১ টাকা ৫৭ পয়সা।৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৪৫ পয়সা বা ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২১ টাকা ৭২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ১৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ দশমকি ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৯ ও ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬৯৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৮০, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৯৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ২০ থেকে ১২ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।