কাট্টালির ডিভিডেন্ড নিয়ে বিভ্রান্তি ব্যাখ্যা জানতে চায় বিএসইসি

Date: 2022-09-15 13:29:51
কাট্টালির ডিভিডেন্ড নিয়ে বিভ্রান্তি ব্যাখ্যা জানতে চায় বিএসইসি
শেয়ারবাজারে তারিকাভুক্ক বস্ত্র খাতের কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইলের পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঘোষিত ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে বলে চলতি বছরের ২৭ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করে কোম্পানিটি। কিন্তু এখনও অনেক বিনিয়োগকালী ডিভিডেন্ড পায়নি বলে অভিযোগ করেছে।কাট্টালি টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যাসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়েছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। সম্প্রতি কাট্টালি টেক্সটাইলের ব্যবস্থপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ আগস্ট অভিযোগকরীর একটি চিঠিতে বলা হয়েছে যে, কাট্টালি টেক্সটাইল ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কিন্তু, এখনও অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী ঘোষিত ডিভিডেন্ড পাননি। তাই, এই বিষয়ে কোম্পানিটিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ১১(২) এর অধীনে চিঠি ইস্যু করার তিন কার্যদিবসের মধ্যে উত্থাপিত সমস্যা সম্পর্কিত সহায়ক কাগজপত্র বা নথিপত্রসহ কোম্পানির অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।চিঠিতে যেসব কাগজ বা নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো—তালিকাভুক্তির পর থেকে লভ্যাংশ কমপ্লায়েন্স রিপোর্টের কপি। কোম্পানি প্রদত্ত মোট লভ্যাংশ ও অবশিষ্ট অর্থের বিস্তারিত তথ্য, ব্যাংক স্টেটমেন্টের অনুলিপি ও মোট ডিভিডেন্ড বিতরণের জন্য বিস্তারিত ব্যাংক ট্রান্সফারের অনুলিপি, গত ২ বছরের বিও হিসাবভিত্তিক ডিভিডেন্ড বিতরণের ও অবণ্টিত ডিভিডেন্ডে হিসাব। একই সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।কাট্টালি টেক্সটাইল শেয়ারবাজারে ২০১৮ সালের তালিকাভুক্ত হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ২০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্ত ও পরিচালকদের হাতে ৩০.৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৯.৩৩, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.২১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪০.১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

Share this news