কারসাজির দায়ে দুই কোম্পানি ও এক বিনিয়োগকারীর জরিমানা

শেয়ারের দাম কারসাজি এবং মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ও এক বিনিয়োগকারীকে জরিমানা করেছে।বিএসইসির ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং-এর পরিচালকদের মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদনের জন্য জরিমানা করা হয়। একই সভায় মোহাম্মদ আবদুল হাই নামে এক বিনিয়োগকারীকে জরিমানা করা হয়।মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শাস্তিমেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যা কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচায় বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। এই কারণে মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এম এফ কামাল কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উভয়ই হওয়ায় তাকে ২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এছাড়া, মনোনীত ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের বাদে কোম্পানিটির পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বিএসইসি।কোম্পানির শেয়ারের দাম, যা গত বছরের জুন-জুলাই মাসে ১৫০ শতাংশের বেশি বেড়ে ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় উঠেছিল।২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ডিএসইর একটি টিম কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শন করে এটি বন্ধ দেখতে পায়। কিন্তু মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক কখনোই এর অপারেশনাল অবস্থা সম্পর্কে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো তথ্য দেয়নি। যদিও কোম্পানিটি ২০২০ সাল পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদনে রাজস্বের পরিসংখ্যান দেখিয়েছে।তাই কারসাজিকারী একটি চক্র কোম্পানির মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।মিথুন নিটিং এর শাস্তিসিকিউরিটিজ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মিথুন নিটিং এন্ড ডাইংয়ের পরিচালকদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। কোম্পানিটি এখন টোটো নিটেক্স নামে পরিচিত।কোম্পানির ব্যবসা পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা জানতে কোম্পানির পরিচালকদের ডেকেছে বিএসইসি।যে বিনিয়োগকারী শেয়ার কারসাজি করেছেজেএমআই সিরিঞ্জ এবং ম্যাকসন্স স্পিনিং শেয়ারের দামের কারসাজির জন্য মোহাম্মদ আবদুল হাই নামে এক ব্যক্তি বিনিয়োগকারীকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বিএসইসির মতে, তিনি গত বছরের জুন-জুলাই মাসে ডিএসইতে সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ারের দাম প্রভাবিত করেছিলেন। তখন, এর শেয়ারের দাম প্রায় ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৫১১ টাকায় উঠেছিল।সিরিয়াল ট্রেডিং হল শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করার জন্য একই সুবিধাভোগী অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে শেয়ার কেনা এবং বিক্রি করা। এই জন্য বিএসইসি তাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।একইভাবে ওই বিনিয়োগকারীকে ম্যাকসন্স স্পিনিং শেয়ারের দামে প্রভাব ফেলার জন্য ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।