ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিতে জিএসপি ফাইন্যান্সের বিনিয়োগ : ফেরত অনিশ্চিত
: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিএসপি ফাইন্যান্স থেকে ধ্বংসের পথে থাকা প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স ও ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টে বিনিয়োগ করা ১৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে ঝুঁকি তৈরী হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিটির আয়কর নিয়ে জটিলতা রয়েছে।কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিএসপি ফাইন্যান্স থেকে প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ও ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টে ১ কোটি ৩৬ টাকা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্ট (টিডিআর) করেছে। যা কোম্পানিটির সমন্বিত মোট সম্পদের ১.৫৫% এবং আর্থিক অবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ওই দুই কোম্পানি থেকে চলতি বছরে কোন সুদ পায়নি জিএসপি ফাইন্যান্স। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার যথেষ্ট ঝুঁকি তৈরী করেছে।জিএসপি ফাইন্যান্সের সাবসিডিয়ারি জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট মার্জিন ঋণ নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বলে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সাবসিডিয়ারি এই কোম্পানিটির ৩৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার মার্জিন ঋণ রয়েছে। যার বিপরীতে ৪৪ কোটি ১১ লাখ টাকার সঞ্চিতি গঠন করেছে। অর্থাৎ ওই সঞ্চিতির কারনে আর্থিক হিসাবে লোকসান তৈরী করেছে।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিএসপি ফাইন্যান্সে আয়কর সঞ্চিতি হিসাবে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার দায় রয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে মাত্র অগ্রিম আয়কর আছে ১৪ লাখ টাকা। এর অর্থ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আয়কর পরিশোধ বা সমন্বয় না করার কারনে প্রতিবছর এ সংক্রান্ত দায় বাড়ছে।উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জিএসপি ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৪.৪৯ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (০৭ জানুয়ারি) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩০.৩০ টাকায়।