ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রোববার থেকে ‘এন’ ক্যাটাগরির পরিবর্তে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে। সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৫৬ পয়সা বা ২৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা।এদিকে চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।এ বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। এর আগে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের জন্য গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে কোম্পানিটির সাবস্ক্রিপশন শুরু হয়। চলে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আইপিও প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্য মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৪টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৪০ টাকা উত্তোলন করে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, ফ্লোর ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ২৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২ হাজার ২৬০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৭২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।