ইউনিক হোটেলের ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন

Date: 2023-03-31 17:00:26
ইউনিক হোটেলের ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের প্রায় ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেন তালিকার শীর্ষে রয়েছে কোম্পানিটি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ইউনিট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের মোট ১ কোটি ৭১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার টাকা, যা এক্সচেঞ্জটির মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের আয় হয়েছে ১১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ৫৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১৩৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৮৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৭৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৮৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আলোচ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ২৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ পয়সা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ পয়সা। মূলত করোনা-পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি স্বাভাবিক ব্যবসায় ফেরায় তাদের আয় বেড়েছে। আর এ আয় বৃদ্ধির প্রভাব কোম্পানিটির নিট মুনাফায়ও যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৭৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮১ টাকা ২৭ পয়সায়। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউনিক হোটেল। আগের হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের জন্য ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৫৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৯ কোটি ৪৪ লাখ। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৬৩ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

Share this news