ইসলামী ব্যাংকের নতুন পর্ষদ গঠন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে ব্যাংকিং খাতের রেগুলেটর বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক ব্যাংকার ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও কুখ্যাত এস আলম গ্রুপের খপ্পর থেকে ইসলামী ব্যাংককে উদ্ধার করা ও আমানতকারীদের আমানতের সুরক্ষার লক্ষ্যে আজ ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিশ্চিতকল্পে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।ইসলামী ব্যাংকের নতুন পর্ষদের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- মোহাম্মদ খুরশিদ ওয়াহাব, মোঃ আব্দুর জলিল, ড. এম মাসুদ রহমান এবং মোঃ আব্দুস সালাম এফসিএ এফসিএমএ।ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০১৬ সালে সোনালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর ৩ বছর পর ২০১৯ সালে রুপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে জয়েন করেন। তার আগে কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বি.কম (অনার্স) এবং ১৯৮৮ সালে আইবিএ থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসিতে বাণিজ্য বিভাগে মেধা তালিকায় তৃতীয় হন তিনি। ১৯৬০ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের ছোট রাজপাড়ায় তার জন্ম।পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ খুরশিদ ওয়াহাব হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক; মোঃ আব্দুল জলিল আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক; ড. এম মাসুদ রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সাবেক অধ্যাপক এবং মোঃ আব্দুস সালাম এফসিএ এফসিএমএ হচ্ছেন একাধারে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ও কস্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ।উল্লেখ, ২০১৭ সালে রাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যাবহার করে ইসলামী ব্যাংকের দখল নেয় এস আলম গ্রুপ। এর পর থেকেই ব্যাংকটিতে এই অবাধ লুণ্ঠন চালিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নামে-বেনামে ঋণ দেখিয়ে এই থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে আলোচিত গ্রুপটি। আর এই টাকার একটি বড় অংশই বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে ভলে অভিযোগ আছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এস আলম গ্রুপ মনোনীত ব্যক্তিরা ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। আর এই গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের ছেলে আহসানুল আলম ছিলেন পর্ষদের চেয়ারম্যান।