ইফাদ অটোর বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইফাদ অটোস লিমিটেডের ৩০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রাপ্ত তথ্যমতে, ইফাদ অটোস লিমিটেডের ৩০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল, পুরোপুরি অবসায়নযোগ্য, সুরক্ষিত এবং ফ্লোটিং রেটের সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি কমিশন। বন্ডটির কুপন হার হবে ছয় শতাংশ। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। বন্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ইফাদ অটোস কর্তৃপক্ষ ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেডের চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহƒত হবে।কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৩৫ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ১৮ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৪০ টাকা ৮১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৪৪ পয়সা।প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৬৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য আট শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে দুই হাজার ২২৮টি শেয়ার মোট ১০ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৪৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৬ দশমিক ৮৯।