হুমড়ি খেয়ে পড়েও চার শেয়ার কিনতে পারেনি কিছু বিনিয়োগকারী

Date: 2023-05-09 21:00:11
হুমড়ি খেয়ে পড়েও চার শেয়ার কিনতে পারেনি কিছু বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় আজও কয়েকটি শেয়ার কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী। যার ফলে দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে চার কোম্পানির শেয়ার। দিনের লেনদেনের একপর্যায়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতা উধাও হয়ে যায়। অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারগুলো কেনার জন্য নানা অংকের বাই অর্ডার দিয়েও তা পাননি।কোম্পানিগুলো হলো- ইস্টার্ন ক্যাবলস,অ্যাপেক্স ফুডস, পেপার প্রোসেসিং ও সুহৃদ ইন্ডস্ট্রিজ।আজ ১০ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ইস্টার্ন ক্যাবলস : আজ বুধবার এ কোম্পানির শেয়ার দর ১৮ টাকা বেড়ে ২২৩ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়ায়। একদিনে সর্বোচ্চ যতটাকা দর বাড়া যায় এদিন ততটাকা বেড়েছে শেয়ারটির।গতকাল মঙ্গলবারও এ কোম্পানির শেয়ার দর ১৮ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে ২০৫ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে। একদিনে সর্বোচ্চ যতটাকা দর বাড়া যায় ওইদিনও ঠিক ততটাকা বেড়েছে শেয়ারটির।গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১২১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৫৩ টাকায় ওঠানামা করে। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের ইস্টার্ন ক্যাবলসের পরিশোধিত মূলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।‘বি’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের কাছে, ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ও বাকি ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।অ্যাপেক্স ফুডস : আজ বুধবার এ কোম্পানির শেয়ার দর ৪০ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে ৪৯৯ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়ায়। একদিনে সর্বোচ্চ যতটাকা দর বাড়া যায় এদিন ততটাকা বেড়েছে শেয়ারটির।এর আগে গত সোমবার এ কোম্পানির শেয়ার দর ৩৬ টাকা বেড়ে ৪৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়ায়। একদিনে সর্বোচ্চ যতটাকা দর বাড়া যায় ওইদিনও ততটাকা বেড়েছে শেয়ারটির।গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১৬৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৯৯ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। ১৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের অ্যাপেক্স ফুডসের পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা।‘এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৩৬ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ও বাকি ৫৬ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৭১ পয়সা। এর আগের অর্থবছর যা ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং : আজ বুধবার এ কোম্পানির শেয়ার দর ১৭ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে ২২২ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। একদিনে সর্বোচ্চ যতটাকা দর বাড়া যায় এদিন ততটাকা বেড়েছে শেয়ারটির।গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১৫৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।‘বি’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ও বাকি ৫৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।পুঁজিবাজারে ১৯৯০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০২২ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ : আজ বুধবার এ কোম্পানির শেয়ার দর ১ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ১৭ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়ায়। একদিনে সর্বোচ্চ যতটাকা দর বাড়া যায় এদিন ততটাকা বেড়েছে শেয়ারটির।গত এক বছরে এ শেয়ারের দর ১৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।‘এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ১২ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ১২ দশমিক ০৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে, ৭৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।সর্বশেষ ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।আজ বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৯ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ৫৬টির ও অপরিবর্তীত ছিল ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।বুধবার লেনদেন হয়েছে মোট ৭২১ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল মোট ৮৩১ কোটি টাকা।টপটেন গেইনারের শীর্ষে ছিল সিভিও পেট্রোক্যামিকেল। এরপর পর্যায়ক্রমে ছিল সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, ইস্টার্ন ক্যাবলস, অ্যাপেক্স ফুডস, পেপার প্রোসেসিং, মনোস্পুল পেপার, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং, সিমটেক্স ও কোহিনূর কেমিক্যাল।অন্যদিকে টপটেন লুজারের শীর্ষে ছিল এমারেল্ড অয়েল। এরপর পর্যায়ক্রমে ছিল বিডি থাই, প্রাইম লাইফ, ইনটেক, এমবি ফার্মা, এডিএন টেলিকম, ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনিক হোটেল, বিডি থাই ফুড ও খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।এছাড়া টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া দশ কোম্পানির শীর্ষে ছিল ইন্ট্রাকো রিফ্যুয়েলিং। এরপর পর্যায়ক্রমে ছিল, অগ্নি সিস্টেম, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ইউনিক হোটেল, ইস্টার্ন হাউজিং, বিডিকম, সি পার্ল বিচ, বিএসসি, আইটিসি ও জেনেক্স ইনফোসিস।

Share this news