গ্রামীণফোনের আয় ও মুনাফা উভয়ই বেড়েছে

Date: 2023-10-25 06:00:11
গ্রামীণফোনের আয় ও মুনাফা উভয়ই বেড়েছে
টেলিযোগাযোগ খাতের তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের আয় ও নিট মুনাফা চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং নিট মুনাফা বেড়েছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল গ্রামীণফোনের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল একই ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা।অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় হয়েছে ১১ হাজার ৮৪৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১১ হাজার ২৮৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৭২০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ২ হাজার ৬৩৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১৯ টাকা ৫৪ পয়সায়।এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় হয়েছে ৪ হাজার ১০৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩ হাজার ৮৬৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৭২ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৮৭ পয়সায়।সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রামীণফোণ। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ২৫ টাকা ২৮ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ২২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ৯৪ পয়সা।এর আগের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ১২৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ছিল। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৪৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন।ওই বছর কোম্পানিটি এর বাইরে ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে আলোচ্য হিসাব বছরে মোট ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে, কোম্পানির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্ব সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফর্মেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতেই রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ৬০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

Share this news