গোপনে আজিজ পাইপসের পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপস লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা গোপনে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে তাদের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) কাছে কোন তথ্য নেই। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যে পরিমাণ শেয়ার তাদের ধারণ করার সেটি আগে থেকেই পরিপালন করেনি কোম্পানিটি। নতুন করে গোপনে শেয়ার বিক্রি করে আজিজ পাইপস যেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেই (বিএসইসি) বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ ডিএসইর সহযোগিতা ছাড়া কোনভাবেই গোপনে শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব নয়। কারণ উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার লকইন থাকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।সূত্র মতে, গত বছরের (২০২২ সাল) জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আজিজ পাইপসের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছেন চলতি বছরের জুন মাসে। তবে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির বিষয়ে কোম্পানিটি কোন ঘোষণা দেয়নি। এক্ষেত্রে এক প্রকার তথ্য গোপন করলেও কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণ কমেছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ হিসাববছর (৩০ জুন, ২০২২) শেষে আজিজ পাইপসের উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে কোম্পানির ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। চলতি বছরের মে মাসে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ কমে ২০ দশমিক ০৭ শতাংশে দাঁড়ায়। অর্থাৎ ১১ মাসে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে। এদিকে চলতি বছরের জুন মাসে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ আরও কমে যায়। ৩০ জুন পর্যন্ত উদ্যোক্তা পরিচালকরা ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছেন। অর্থাৎ জুন মাসেই আজিজ পাইপসের উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। আর এক বছরে বিক্রি করেছেন ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার।