গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন

Date: 2022-10-23 05:00:15
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ ভালোভাবে শেষ হয়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ব্যাংকিং খাতের এই প্রতিষ্ঠানটিও বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে বিশেষ সুবিধা।প্রাথমিকভাবে এনআরবিদের প্রাধান্য দিয়ে ২৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। যেখানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পারেন।জানা গেছে, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন পর ব্যাংক খাতের মতো ভালো কোম্পানির আইপিও আসায় বিনিয়োগকারীরা বেশ উৎফুল্ল ও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পেয়েছেন। ব্যাংকটির আইপিও আবেদন শুরু হয় গত ১৬ অক্টোবর হয়ে যা চলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহের চিত্র দেখা গেছে। ওই সময় রাজধানীতে এম সিকিউরিটিজ লিমিটেড, মশিউর সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, জয়তুন সিকিউরিটিজ লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ সহ বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ঘুরে দেখা গেছে, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।মূলত বাড়তি আগ্রহের পেছনে মূল কারণ বিনিয়োগকারীরা ১০,০০০ টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পেরেছেন। পাশাপাশি ব্যাংকটির গ্রোথ ও শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ভালো অবস্থানে থাকায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদনে আগ্রহী ছিল বিনিয়োগকারীরা।বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলো ভালো মৌলভিত্তির হওয়ার এ ধরনের কোম্পানি বাজারে আসলে বাজারের গভীরতা বাড়ে। শেয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে এসব শেয়ারে কারসাজির ও আশংকা কম। এদিকে, বিশেষ সুবিধা থাকায় বিনিয়োগকারীদের এ শেযারে বিনিয়োগ লাভজনক হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এদিকে পুঁজিবাজারে ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (জিআইবি)। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের প্রস্তাব বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক অনুমোদিত হয়।৪২৫ কোটি টাকার শেয়ার বন্টন হবে যেভাবে: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজঅ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ১৬ জুন ২০২২ নোটিফিকেশন অনুযায়ী এনআরবিবা প্রবাসীরা মোট শেয়ারের ২৫% পাবেন অর্থাৎ এনআরবি বা প্রবাসীরা পাবেন ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ১০ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। অভিবাসী কর্মীদের কর্তৃক ২৫% আইপিও শেয়ার সাবস্ক্রিপশন পরিপূর্ণনা হলে, আনসাবস্ক্রাইবড অংশ অন্যান্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে আনুপাতিক হারে বন্টন করা হবে।যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজেবলইনভেস্টর) পাবেন ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত শেয়ার। আর সাধারন বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২৩৯ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বা ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত শেয়ার।৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে যেভাবে: জিআইবি তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইপিও থেকে উত্তোলিত অর্থ সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করবে ২৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ৬৩.১৮ শতাংশ। ক্ষুদ্র্ঋণ প্রকল্পে (এসএমই) বিনিয়োগক রবে ১০০ কোটি টাকা বা ২৩.৫৩ শতাংশ। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে ৫০ কোটি টাকা বা ১১.৭৬ শতাংশ। এছাড়া সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে আইপিও খাতে।গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বর্তমানে সারা দেশে সকল বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে দেশে আরও শাখা খোলার মাধ্যমে সকল জেলা ও বড় শহরে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

Share this news