ফ্লোরের নিচে লেনদেনকে কেন্দ্র করে উত্থানে শেয়ারবাজার

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্বিতীয় বারের মতো গত ৩১ জুলাই বেঁধে দেয়া হয়। ফ্লোর প্রাইসের কারণে প্রায় তিন শ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশূন্যতার মধ্যে ছিলো। মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে কম দরে শেয়ার কেনা বেচার সুযোগ করে দেয়। তবে মূল বাজার নয়, ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে শেয়ার বিক্রি করা যাবে। এই নির্দেশনা নিয়ে বিনিয়োগকারীর মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও দিন শেষে এর প্রভাবে উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার।বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায় বাংলাদেশের অর্থনীতি গিয়ে গুজব-গুঞ্জনে টালমাটাল শেয়ারবাজারে সপ্তাহের আগের তিন কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর প্রধান সূচক পড়েছিল ১৩৫ পয়েন্ট। বাজারে আতঙ্কের মধ্যে বুধবারও একপর্যায়ে ১৭ পয়েন্ট পতনে বিনিয়োগকারীর হতাশা আরও বাড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তবে ক্রয় চাপে শেষ পর্যন্ত সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট।বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার কারণে অনেকেই আজ ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে শেয়ার বিক্রি করেছে। আর শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা অন্য শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। যার প্রভাব দিন শেষে সূচকে লক্ষ্য করা গেছে। বিনিয়োগকারীদের ব্লক মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করে মূল মার্কেটে আবারও বিনিয়োগ করার কারণেই আজ সূচক বেড়েছে বলে মনে করছে শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা।বুধবারের শেয়ারবাজার পযালোচনা:আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৫.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৫৩.৩৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯.৩৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৬.৮৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১.৬৫ পয়েন্টে।ডিএসইতে আজ ৪৬৮ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯২ কোটি ৪১ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫৬০ কোটি ৯২ লাখ টাকার।ডিএসইতে আজ ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৬টির, শেয়ার দর কমেছে ১১টির এবং ২৩৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৮৪.৬৭ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৩০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭টির আর ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।