ফ্লোরে আটক ৫৮ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার

Date: 2022-10-05 11:00:13
ফ্লোরে আটক ৫৮ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার
একের পর এক নেতিবাচক খবরে যখন বড় পতন হতে শুরু করে দেশের শেয়ারবাজারে। ঠিক তখনই পতন ঠেকানোর জন্য দাবি উঠে ফ্লোর প্রাইস বেধে দেওয়ার। বিনিয়োগকালীদের দাবি বিবেচনা করে ফ্লোর প্রাইস বেধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।কিন্তু সেই ফ্লোর প্রাইসই এখন বিনিয়োগকালীদের গলার কাটা। কারণ ফ্লোরে থাকা কোম্পানিগুলোর বাড়ছেও না, বিক্রিও করতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ তথ্য মতে ডিএসইতে ফ্লোর প্রাইস কোম্পানির সংখ্যা ১৭৪টি। যা লেনদেন হওয়া মোট কোম্পানির ৪৬ শতাংশ। ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয় ৩৮১টি কোম্পানির। এরমধ্যে ব্যাংক খাতের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টি ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে। যা ব্যাংক খাতের মোট প্রতিষ্ঠানের ৫৮ শতাংশ।বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে শেয়ারদর আটকে থাকার কারণে অনেক বড় ক্ষতির মূখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারীই মার্জিন ঋণে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু শেয়ারের দর বৃদ্ধি হোক বা না হোক লোকসান কিন্তু বেড়েই চলছে। যার কারণে এই শেয়ারগুলো বিনিয়োগকারীদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে হয়তো আমাদের লোকসান বেড়ে যেত। কিন্তু শেয়ার বিক্রির সুযোগ তৈরী হতো। এতে করে একদিকে লোকসান হলেও অন্য কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী হতো। এতে করে বিনিয়োগকারীরা মার্জিন ঋণের যন্ত্রনা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেত। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভেবে দেখা খুবিই প্রয়োজন বলে মনে করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।ব্যাংক খাতের ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামি ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক এবং ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।

Share this news