ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গেই বাজিমাত

Date: 2024-01-18 08:00:07
ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গেই বাজিমাত
ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গেই বাজিমাত করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। আজ তিনটি ক্ষেত্রেই ইতিবাচ ভূমিকা রেখেছে কোম্পানিটি।প্রথমত, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৪.৫৯ পয়েন্ট। আমারস্টকের তথ্য অনুযায়ি, ডিএসইর সূচকে আজ বিকন ফার্মা একাই যোগ করেছে ১৪.৯২ পয়েন্ট।দ্বিতীয়ত, ডিএসইর দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় আজ প্রথমে স্থান নিয়েছিল বিকন ফার্মা।তৃতীয়ত, ডিএসইতে আজ টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মার। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেন তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হয়ে আসার কারণে কোম্পানিটিকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেক আশা জেগেছে। তারা মনে করছেন, সামনে যদি এই দর বৃদ্ধির ধারা অব্যহত থাকে তবে শেয়ারটির দর তার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।গত ২ বছরের মধ্যে বিকন ফার্মার ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছিল ৩৮০ টাকা ৮০ পয়সায়। এরপর কোম্পানিটির দর ধারাবাহিকভাবে কমে ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়।গত ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল থেকেই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল।আজ ডিএসইতে কোম্পানিটির ২১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮.৭৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।এদিন কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯০৫টি শেয়ার ২ হাজার ৩৫৭বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৪৬ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।কোম্পানিটি গত ৩ বছর ধরেই উল্লেখযোগ্য হারে ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ এবং ২০১২ ও ২০২৩ সালে প্রতিবছর ১৬ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১ পয়সা বেশি।ইপিএসের পাশাপাশি কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৬৩ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬৬ পয়সায়।আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৩২ পয়সা। যা গত বছরের তুলনায় ৬০ পয়সা বেশি।২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৩০০ কোটি টাকা ও ২৩১ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রির্জার্ভের পরিমাণ ৩৬২ কোটি ২০ লাখ টাকা।এই কোম্পানির ২৩ কোটি ১০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৩৯.৮৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩৬.১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ২৩.৯৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

Share this news