ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গে বড় ধরনের রিটার্ন দিলো ৩ কোম্পানি

দেশের পুঁজিবাজারের শীর্ষ ১০ কোম্পানি থেকে রিটার্ন এসেছে খুবই নগণ্য। তবে চলতি বছরের শুরুতেই ভালো কোম্পানিগুলো থেকে ভালো রিটার্ন আসার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সর্বশেষ সপ্তাহে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তিনটি ফ্লোর ভেঙে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা রিটার্ন দিয়েছে।বাজার মূলধন বিবেচনায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ধারাবাহিকভাবে গ্রামীণফোন লিমিটেড, ওয়ালটন হাই-টেক পার্ক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, রেনাটা লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল), বেক্সিমকো লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড।বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, শীর্ষ ১০ কোম্পানির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ১০৩ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট বাজার মূলধনে এ দশ কোম্পানির মূলধনের অবদান ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের সপ্তাহ শেষে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৬৪ কোটি ১০ লাখ টাকায়। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে এ দশ কোম্পানির বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ।ডিএসইর বাজার মূলধন বিবেচনায় পুঁজিবাজারের শীর্ষ কোম্পানি গ্রামীণফোন। এক্সচেঞ্জটির মোট বাজার মূলধনের ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশই রয়েছে কোম্পানিটির দখলে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সর্বশেষ সপ্তাহে (৭ থেকে ১১ জানুয়ারি) কোম্পানিটির বাজার মূলধন ও শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় ফ্লোরে আটকে আছে।ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের ৭ শতাংশ দখলে নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়ালটন। সর্বশেষ সপ্তাহে এ কোম্পানিটিরও বাজার মূলধন ও শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সপ্তাহ শেষে কোম্পানির বাজার মূলধন ৩১ হাজার ৭৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর কোম্পানির শেয়ারদর ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় ফ্লোরে আটকে আছে।৬ দশমিক ১৮ শতাংশ মূলধনের ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ বাজার মূলধনী কোম্পানির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিএটিবিসি। সর্বশেষ সপ্তাহে এ কোম্পানিটিরও বাজার মূলধন ও শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন ২৮ হাজার ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর শেয়ারদর ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সায় স্থির রয়েছে।বাজার মূলধন বিবেচনায় ডিএসইর শীর্ষ তালিকায় চতুর্থ কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এক্সচেঞ্জের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ বাজার মূলধন রয়েছে কোম্পানিটির দখলে। এ কোম্পানিটির বাজার মূলধন গত সপ্তাহ শেষে (১১ জানুয়ারি) ১৮ হাজার ৭১৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে (৪ জানুয়ারি) এ মূলধন ছিল ১৮ হাজার ৬৩৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়েছে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত সপ্তাহ শেষে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১১ টাকা ১০ পয়সায়। আগের সপ্তাহ শেষে এ দর ছিল ২১০ টাকা ২০ পয়সায়।ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ দখলে নিয়ে তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রবি। সর্বশেষ সপ্তাহে এ কোম্পানিটিরও বাজার মূলধন ও শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সপ্তাহ শেষে কোম্পানির বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর কোম্পানির শেয়ারদর ৩০ টাকায় ফ্লোরে আটকে আছে।৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মূলধনের ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ বাজার মূলধনী কোম্পানির তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রেনাটা। সর্বশেষ সপ্তাহে এ কোম্পানিটিরও বাজার মূলধন ও শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৯৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর শেয়ারদর ১ হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সায় স্থির রয়েছে।বাজার মূলধন বিবেচনায় ডিএসইর শীর্ষ তালিকায় সপ্তম কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার। এক্সচেঞ্জের ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বাজার মূলধন রয়েছে কোম্পানিটির দখলে। এ কোম্পানিটির বাজার মূলধন গত সপ্তাহ শেষে ১৩ হাজার ৫৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর শেয়ারদর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় ফ্লোরে আটকে রয়েছে।ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের ২ দশমিক ২৮ শতাংশ দখলে নিয়ে তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সর্বশেষ সপ্তাহে এ কোম্পানিটিরও বাজার মূলধন ও শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সপ্তাহ শেষে কোম্পানির বাজার মূলধন ১০ হাজার ৩৫৭ কোটি ১০ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর কোম্পানির শেয়ারদর ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় ফ্লোরে আটকে আছে।১ দশমিক ৮৯ শতাংশ মূলধনের ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ বাজার মূলধনী কোম্পানির তালিকায় নবম অবস্থানে রয়েছে বার্জার পেইন্টস। সর্বশেষ সপ্তাহে এ কোম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৮ হাজার ৩৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানির বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের সপ্তাহ শেষে এ দর ছিল ১ হাজার ৮১১ টাকা ১০ পয়সায়।বাজার মূলধন বিবেচনায় ডিএসইর ১০ শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় সবশেষে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। এক্সচেঞ্জের ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ বাজার মূলধন রয়েছে কোম্পানিটির দখলে। এ কোম্পানিটির বাজার মূলধন গত সপ্তাহ শেষে ৮ হাজার ৩২৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৮ হাজার ৩৬ কোটি টাকায়। কোম্পানির শেয়ারদর গত সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬৯ টাকা ২০ পয়সায়।