ফ্লোর প্রাইস নিয়ে অনড় অবস্থানে বিএসইসি

দীর্ঘমন্দা কাটিয়ে গত কিছুদিন ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে হাঁটতে শুরু করেছিল শেয়ারবাজার। ক্রমাগত বাড়তে শুরু করছিল লেনদেন। এরই ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শুরু করে। কিন্তু একটি চক্র ফের গুজব ছড়িয়ে শেয়ারবাজারকে অস্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করছে।ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে বলে গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যার প্রভাবে গতকাল সোমবার (১৫ মে) দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা তবে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখার বিষয়ে এখনো অনড় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।জানা গেছে, চক্রটি বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে এমন গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ফলে আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা কম দামেই শেয়ার বিক্রি করে দেয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পক্ষে নয়। বরং শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখার বিষয়ে এখনো অনড় সংস্থাটি।এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বলেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে কিনা সেটি চেয়ারম্যান স্যার ক্লিয়ার করেছেন। এটা নিয়ে গুজবের কিছু নাই।তিনি বলেন, গুজব সাধারণত মোবাইলে এসএমএস, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ানো হয়। বিএসইসি এখন সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং আইন করা যায় কিনা সেটি নিয়ে ভাবছে। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। গুজব কিভাবে মিনিমাম লেভেলে রাখা যায় সে বিষয়ে এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) সঙ্গে আলোচনা চলছে। অন্যান্য দেশে কিভাবে এসব বিষয় মনিটরিং করা হয় সেটি নিয়েও গবেষণা করা হচ্ছে।বিএসইসির মুখপাত্র আরও বলেন, সাধারণত ম্যানুয়ালভাবে গুজব ধরা সম্ভব নয়। তাই গুজব প্রতিরোধে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে কোন সফটওয়্যার নেওয়া যায় কিনা সেটিও আমরা ভাবছি।