ফের ওরিয়ন ইনফিউশনের বড় লেনদেন : ৫ কর্মদিনে দর বেড়েছে ১৩.৪৯%

ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৪০ লাখ ২০ হাজার ৫১২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারদর এ সময়ে ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪১৩ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল ২৫১ টাকা ৬০ পয়সা ও ৫৯০ টাকা।চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৬৩ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৯৪ পয়সায়।সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ওরিয়ন ইনফিউশনের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ১০ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সায়।এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৩ নভেম্বর।এর আগে সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সায়। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ২২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সায়।এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৬৬ পয়সা।সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ওরিয়ন ইনফিউশন। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এর আগের তিন হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের জন্য ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫০ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।