ফার্মা খাতে ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৬টির, কমেছে ৯টির, অপরিবর্তিত ৫টির

Date: 2022-11-06 04:00:14
ফার্মা খাতে ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৬টির, কমেছে ৯টির, অপরিবর্তিত ৫টির
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা ও রসায়ন খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য এই পর্যন্ত ২৩টি কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ৬টি কোম্পানির ডিভিডেন্ড বেড়েছে, কমেছে ৯টির। আর ডিভিডেন্ড অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। আবার নতুন করে তালিভুক্ত হয়ে এই বছরই প্রথম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে দুটি কোম্পানি। আর একটি কোম্পানি ‘নো ডিভিডেন্ড ‘ ঘোষণা করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি জুন ক্লোজিং অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বাকি দুটি কোম্পানির মধ্যে রেকিট বেনকিজার ডিসেম্বর ক্লোজিং এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ মার্চ ক্লোজিং ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি পাওয়া ছয় কোম্পানির মধ্যে রয়েছে রেকিট বেনকিজার, একমি ল্যাবরেটরিজ, বিকন ফার্মা, ইবনে সিনা, জেএমআই সিরিঞ্জ এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।রেকিট বেনকিজার: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ১৬৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।এক্‌মি ল্যাবরেটরিজ: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ৫ শতাংশ বেড়েছে।বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ১ শতাংশ বেড়েছে।ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৬০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ৪৭ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ১৩ শতাংশ বেড়েছে।জেএমআই সিরিঞ্জ: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ৫ শতাংশ বেড়েছে।ডিভিডেন্ড বৃদ্ধি পাওয়া ছয় কোম্পানির মধ্যে রয়েছে রেকিট বেনকিজার, একমি ল্যাবরেটরিজ, বিকন ফার্মা, ইবনে সিনা, জেএমআই সিরিঞ্জ এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।রেকিট বেনকিজার: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ১৬৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১৪০০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।এক্‌মি ল্যাবরেটরিজ: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ৫ শতাংশ বেড়েছে।বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ১ শতাংশ বেড়েছে।ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৬০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ৪৭ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ১৩ শতাংশ বেড়েছে।জেএমআই সিরিঞ্জ: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ৫ শতাংশ বেড়েছে।কটিভ ফাইন: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ০.২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ০.৫০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ০.২৫ শতাংশ কমেছে।অ্যাডভেন্ট ফার্মা: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ২ শতাংশ ক্যাশ এবং ২ শতাংশ স্টক। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ২ শতাংশ কমেছে।ফার ক্যামিক্যাল: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ১ শতাংশ কমেছে।ম্যারিকো বাংলাদেশ: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩১ মার্চ ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৮০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ৯০০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ১০০ শতাংশ কমেছে।রেনেটা: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ১৪০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৭ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১৪৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ৮ শতাংশ কমেছে।সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ৫ শতাংশ কমেছে।সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ। অর্থাৎ সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ২ শতাংশ কমেছে।এখনও বোর্ড মিটিং না হওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইমাম বাটন, কেয়া কসমেটিক্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ফার্মা এইডস, স্যালভো ক্যামিকেল লিমিটেড। এছাড়াও ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

Share this news