এশিয়াটিকের আইপিও নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক!
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসছে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। এই জন্য ১০ অক্টোবর বিডিং শুরু হয়ে চলে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য (Cut-off Price) নির্ধারণ হয়েছে ৫০ টাকায়। ফলে লেনদেন শুরু আগেই প্রতিটি শেয়ারে ৩০ টাকা করে লোকসান গুনতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র মতে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে গত ৩১ আগস্ট বিডিংয়ের অনুমতি দিয়েছে। সেই সময়ে বিএসইসি বলেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিডিং এর মাধ্যমে যেই দর নির্ধারণ করবে তার থেকে ৩০ শতাংশ অথবা ২০ টাকা, যেটি কম, সেই দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পাবে।ডিএসইর সূত্র অনুযায়ী, ৫০ টাকা দরে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৮ শেয়ারের জন্য ৬১টি প্রতিষ্ঠান বিডিং করেছে। টাকার হিসেবে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আইন অনুযায়ী ২৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য। এ হিসেবে এই খাত থেকে কোম্পানির প্রয়োজন ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৫০ টাকা দর নির্ধারণ করায় শুরুতেই ৩০ টাকা লোকসান গুনতে হবে তাদেরকে। এই লোকসান থেকে চালান ফেরত পেতে ১০ কার্যদিবস হল্ট থাকতে হবে এই শেয়ারের। এর পর মুনাফার মুখ দেখবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা। কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।