এনআরবি ব্যাংকের আইপিও আবেদন সংশোধন

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবার এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদনের নির্ধারিত স্তর বা বাধা তুলে নিয়েছে।ব্যাংকটির আইপিও-তে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখন কোনও সীমাবদ্ধতা ছাড়া যেকোনো পরিমাণ শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের জন্য ধার্যকৃত ১০ হাজার টাকার সীমা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএসইসি।আগামী ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে ব্যাংকটির আইপিও আবেদন শুরু হচ্ছে। চলবে ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত।কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারে আবেদনের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ০১ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।এর আগে, বেস্ট হোল্ডিংসের আইপিও আবেদনের উপর বাধা তুলে নিয়েছিল বিএসইসি। তবে পরে মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার আবেদনের উপর নতুন সীমা আরোপ করে।সংশোধিত চিঠিতে বেস্ট হোল্ডিংস সম্পর্কে কমিশন বলেছে, ‘আবেদনের পরিমাণের জন্য সাবস্ক্রাইব সীমা ১০হাজার টাকা বা এর গুণিতক হবে। তবে ১৫ লাখ টাকার বেশি আবেদন করা যাবে না।’গত ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে এনআরবি ব্যাংক নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য বিএসইসি থেকে অনুমোদন পায়।সংগ্রহীত অর্থ দিয়ে সরকারি সিকিউরিটিজে ৯২ কোটি টাকা, সেকেন্ডারি মার্কেটে ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং আইপিও ব্যয় মেটাতে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা খরচ করবে ব্যাংকটি।কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটি রিটেইল ব্যাঙ্কিং, এসএমই ব্যাঙ্কিং, এনআরবি ব্যাঙ্কিং, কর্পোরেট ব্যাঙ্কিং, এবং ই-ব্যাঙ্কিং-এর মতো বিভিন্ন ক্যাটাগরির অধীনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও পরিষেবা চালু করেছে।