একমি ল্যাবরেটরিজের নিট মুনাফা বেড়েছে ৬ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে দি একমি ল্যাবরেটরিজের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৬৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৯ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৯৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৫৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা ৪৮ পয়সায়। এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠিয়েছে দি একমি ল্যাবরেটরিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২১১ কোটি ৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৯৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১০২ টাকা ৫০ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৯৫ টাকা ৪ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে বছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ সালের ৩০ জুন হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় একমি ল্যাবরেটরিজ। তার আগের তিন হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।