একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে ডিএসইর
![একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে ডিএসইর](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/3667/dse.jpg)
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)) একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। কখনো ওয়েভ সাইটে সমস্যা, কখনো মোবাইল অ্যাপে সমস্যা, কখনো সার্ভারে সমস্যা আবার কখনো ডিএসইর নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে যায় ডিএসইর অফিসারেরাও। এখন নতুন করে আইপিওর শেয়ার নিয়ে তৈরী হয়েছে সমস্যা। এ সকল সমস্যার ভুক্তভূগি একমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এমন সমস্যা থেকে কখন পরিত্রাণ পাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।জানা গেছে, ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের আজ শেয়ার লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ ছিল পূর্ব থেকেই। এরআগে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিওতে পাঠানো হয়েছে বলে ডিএসইর মাধ্যমে জানানো হয়েছে । কিন্তু আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) লেনদেনের পূর্বে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। কিন্তু সিএসইতে লেনদেন শুরু হয়েছে।একই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে সিএসই ঠিকভাবে লেনদেন শুরু করতে পারলেও ডিএসই কেন লেনদেন শুরু করতে পারেনি? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে ডিএসইর একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তা জানা যায়নি। ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি সাইফুর ইসলাম মজুমদারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোন প্রকার প্রতি উত্তর দেননি।এদিকে ডিএসই থেকে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে জানানো হয়েছে, ট্রেডিং কোডের ভুলের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু করতে পারেনি ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ট্রেডিং কোড সিএসইতে ঠিক থাকতে পারলে ডিএসইতে কেন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাহলে কি সিএসইর চেয়েও ডিএসইর কর্মকর্তারা কম পারদর্শি? প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।কিন্তু শেয়ারনিউজ২৪.কম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কথা বলে জানতে পারে এখনও অনেক বিওতে শেয়ারই স্থানান্তরই করা হয়নি। তাহলে কি ডিএসই ট্রেডিং কোর্ডে সমস্যার কথা বলে নিজেদের ভুলকে গোপন করার চেষ্টা করছে? যদি সেটা না হয় তাহলে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি কেন নিজেকে আড়াল করে রেখেন? এমন প্রশ্নই করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেনের নতুন তারিখনির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২২। ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোড নাম `ICICL এবং কোড নং 25756 তে ট্রেড হবে।উল্লেখ্য, কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ২ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ১০৬টি শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন করেছে।শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে আইডিআরএ’র বিধান মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফিক্সড ডিপোজিট, সরকারি সিকিউরিটিজ, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং আইপিও ব্যয় নির্বাহ করবে।কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৬ পযসায় এবং পুন:মূল্যায়ন বাদে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪৮ পয়সায়। আর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।প্রতিষ্ঠানটির আইপিও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করছে ইসলামী আফতাব অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস।সিকিউরিটিজ নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোন প্রকার ডিভিডেন্ড ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩৮তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।