এক সপ্তাহ পর পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখিতা

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহ পর গতকাল সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এদিন ডিএসইর সার্বিক সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সাম্প্রতিক বাজার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেন ও সূচক নিম্নমুখী ছিল। ডিএসইতে ১১ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। এক সপ্তাহ সূচক ও লেনদেন নিম্নমুখী থাকার পর গতকাল লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬২ কোটি টাকা, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৭৬৪ কোটি টাকা। গতকাল দিন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। এদিন শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫১টি, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩৮টি। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১৩২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে সামান্য বেড়ে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, উত্তরা ব্যাংক, মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড মিলস, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও পুবালী ব্যাংকের শেয়ারের। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৯৭টির, কমেছে ১৩৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে ছিল ওষুধ খাতের। ১২ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ২ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল সাধারণ বীমা খাত। প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে বস্ত্র, কাগজ, ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল ভ্রমণ, সেবা, প্রযুক্তি ও পাট খাত।দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সূচক বাড়লেও লেনদেন নিম্নমুখী ছিল। এক্সচেঞ্জটির নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১০ হাজার ৭৫২ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৭ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ৯৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।