এক লাখ শেয়ার বেচলেন শমরিতা হসপিটালের উদ্যোক্তা

Date: 2024-01-20 08:00:09
এক লাখ শেয়ার বেচলেন শমরিতা হসপিটালের উদ্যোক্তা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শমরিতা হসপিটাল লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ডা. এবিএম হারুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারদরে এক লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ১২ ডিসেম্বর ডিএসইতে এ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৩৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৮ টাকা ৮৮ পয়সা।শমরিতা হসপিটালের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ট্রিপল এ।’ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, গত ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক দায় ও রেটিং ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং করে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শমরিতা হসপিটালের পরিচালনা পর্ষদ।সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শমরিতা হসপিটালের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা, এর আগের বছরে যা ছিল ১৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪৬ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৪৯ টাকা ২৩ পয়সা।৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি শমরিতা হসপিটাল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৭১ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪৯ টাকা ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫০ টাকা ৫ পয়সা।২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল শমরিতা হসপিটাল। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।শমরিতা হসপিটাল পুঁজিবাজারে আসে ১৯৯৭ সালে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২১ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ৮৯৭। এর ৪৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক, ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৯২ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটি ৬৪ টাকা থেকে ১১৬ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ২৩১২ দশমিক ৫, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ২৫ দশমিক ১৪।

Share this news