দুই কোম্পানিতে বড় আকারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানিতে বড় আকারে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। কোম্পানি দুটি হলো-ইসলামী ব্যাংক ও সী পার্ল বীচ রিসোর্ট লিমিটেড। আমার স্টক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।ইসলামী ব্যাংকইসলামী ব্যাংকে এক সময়ে বিদেশি বিনিয়োগই ছিল বেশি। যা ৪০ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। পরবর্তীতে কোম্পানিটি থেকে বড় আকারে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে বড় আকারে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়।সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ এসে দাঁড়ায় ৮.২৭ শতাংশে। নভেম্বর মাসে কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগ আবার বড় আাকারে আসতে দেখা যায়। ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগ ৪.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.১৬ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে অক্টোবরে বিনিয়োগ ছিল ৮.২৭ শতাংশ। যা নভেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.১৬ শতাংশে।সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরেও ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ।সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৭১ পয়সা।সী পার্ল বীচ রিসোর্টডিএসইর তথ্যে দেখা যায়, সী পার্ল বীচ রিসোর্টে আগে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল না। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটিতে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ ছিল না।সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখেও কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল শুন্য। নভেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রথম বারের মতো বিদেশিদের বিনিয়োগ দেখা যায়। ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ দেখা যায় ২.৫৭ শতাংশ।সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে দিয়েছিল ১৫ শতাংশ।সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) সী পার্ল রিসোর্টের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৭ পয়সা।