ডরিন পাওয়ারের ইপিএস কমেছে আড়াই গুণ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরের জন্য ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) কমেছে ২.৫৯ গুণ। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে ডরিন পাওয়ারের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৯ টাকা ২১ পয়সা।৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৪৭ পয়সায়। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৪৭ টাকা ৪৬ পয়সা।কোম্পানিটির ঘোষিত ডিভিডেন্ড ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর।আগের ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল কোম্পানিটি। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১০ টাকা ৩১ পয়সা।২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দার্ন ও সাউদার্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ডরিন পাওয়ার ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভে রয়েছে ৬৪২ কোটি ২১ লাখ টাকা।কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২টি। এর মধ্যে ৬৬.৬১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮.৮১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৪.৫৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।