ডলার সংকটে ডিভিডেন্ড পাঠাতে পারছেনা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো
![ডলার সংকটে ডিভিডেন্ড পাঠাতে পারছেনা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5071/multinational-company.png)
বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানির সংখ্যা ১৩টি। এই কোম্পানিগুলোতে বেশিরভাগ মালিকনায়ই রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে বেশকিছু কোম্পানি ডলার সংকটের কারণে ডিভিডেন্ড পাঠাতে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশে ব্যবসারত আরও অনেক বহুজাতিক কোম্পানিকেই।জানা গেছে, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির ডলার সংকটের কারণে বিদেশে অর্থ পাঠাতে সমস্যায় পড়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেড, রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড ও ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড।বহুজাতিক জুতা উৎপাদক বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত সময়ে নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির সংরক্ষিত আয়ের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৬০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৬ শতাংশ ক্যাশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ ২০২১-২২ হিসাব বছরের ঘোষিত ২০০ শতাংশ চূড়ান্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ২০২২-২৩ হিসাব বছরের জন্য প্রথম দফায় ঘোষিত ৪৫০ শতাংশ ও দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড, তামাক খাতের বহুজাতিক জায়ান্ট বিএটিবিসি গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ হাজার ৬৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেন।এরই মধ্যে কোম্পানিগুলো স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে জানিয়েছে, তারা ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।কিন্তু কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা গত বছরের ডিসেম্বরে ডিভিডেন্ডে টাকা পেয়েছেন। তবে ডলার সংকটের কারণে তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ডিভিডেন্ড পাঠাতে পারছেন না। সংকট কমে এলে কিংবা যখনই তারা প্রয়োজনীয় ডলারের ব্যবস্থা করতে পারলে তখন বিদেশীদের ডিভিডেন্ডের টাকা পাঠাবেন।