ডলার ক্রয়ে ব্যাংকের অনিয়মে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

Date: 2023-04-02 05:00:21
ডলার ক্রয়ে ব্যাংকের অনিয়মে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া হুন্ডির চাহিদা কমানোর দিকে মনযোগ দিচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কোনো ব্যাংক যদি ডলার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।রোববার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যাংকার্স মিটিং। এর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায়।মেজবাউল হক বলেন, বিএফআইইউ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগের পরে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসময়ে আমরা হুন্ডির চাহিদা কমানোর দিকে মনযোগ দিচ্ছি। হুন্ডির চাহিদা আন্ডার ইনভয়েসিং থেকে তৈরি হয়। আমরা যদি আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমরা হুন্ডির চাহিদা কমাতে পারবো।LankaBangla securites single pageতিনি বলেন, হুন্ডি যে করছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একইসময়ে এর চাহিদা কমানোর চেষ্টা করছি। এদিকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বাফেদার নির্ধারিত একটি দর আছে। আমরা ব্যাংকগুলোকে বলেছি নির্ধারিত এই দামেই যেন রেমিট্যান্সের ডলার ক্রয় করে। তবে কোনো ব্যাংক যদি ডলার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এছাড়াও তিনি বলেন, আজকের ব্যাংকার্স মিটিংয়ে খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। যাতে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে খেলাপি ঋণ রাখা যায়। আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে ব্যাংকগুলো যাতে খেলাপি ঋণ আদায়ে উদ্যোগী হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডলারের অনেকগুলো রেট আমরা প্রায় কাছাকাছি নিয়ে আসছি। আমরা বারবারই বলছি যে সিঙ্গেল রেটে পৌছাবো।অর্থঋণ আদালতের মামলার বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, মামলা নিষ্পত্তি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। আমাদের আইন বিভাগের মাধ্যমেও মামলাগুলো তদারকি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটা পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে আবার হয়তো ১২ থেকে ১৩ হাজার মামলা নতুন করে যোগ হয়েছে। তবে মামলা নিষ্পত্তির গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।তিনি বলেন, অর্থঋণ আদালতে মামলায় ব্যাংকগুলোর দায়ের পরিমাণ ছিলো ৮২ হাজার কোটি টাকা। কিন্ত মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছে ২১ হাজার কোটি টাকা। মামলার রায় পেলেও সম্পদ বিক্রিসহ অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করতে দীর্ঘমেয়াদী সময় প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থাকায় আমাদের দেশে এসব কাজে অনেক সময় লাগে। তাই মামলা নিষ্পত্তি ও আদায়ের মধ্যে বড় একটি ব্যবধান থাকে।

Share this news