ডিভিডেন্ডের খবরে নড়েচড়ে বসেছে বিএসসি

২০২২ সালে ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রাক্কালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন-বিএসসির শেয়ার ১৭০ টাকার ওপরে লেনদেন হয়। ওই বছর ২২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ১৭২ টাকায় উঠে। সেই বছর কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা দেখিয়েছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। আর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০ শতাংশ ক্যাশ।এবছর কোম্পানিটি সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ঘোষণা করেছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৫৯ পয়সা।আগামী ১৫ অক্টোবর কোম্পানিটি ২০২৩ বছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে বলে বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে।ডিভিডেন্ড ঘোষণার খবরে কোম্পানিটির শেয়ার ভালো নড়েচড়ে বসেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে এবং দাম বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের এক পর্যায়ে ১১৮ টাকায় বিক্রেতাশুন্য ছিল। তবে বাজার মন্দার দিকে টার্ন নিলে শেয়ারটিতে বিক্রেতাদের চাপ দেখা যায়। তারপরও শেষ বেলায় শেয়ারটিতে বিক্রেতাদের চেয়ে ক্রেতাদের চাপই বেশি দেখা গেছে। দিনশেষে শেয়ারটি ১১৭ টাকায় ক্লোজিং হয়েছে।শেয়ারটির ১৭২ টাকা থেকে ফ্লোর প্রাইস ১০৭ টাকায় নেমে আসার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফায় পিছুটান ছিল। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছিল ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৩৪ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকের মুনাফা ঘোষণার পরই কোম্পানিটির শেয়ারে নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়।এরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২২) মুনাফা ইতিবাচক হলেও কোম্পানিটির শেয়ার দামে আর ইতিবাচক হয়নি। ক্রমাগতই নেতিবাচক প্রবণতায় থেকেছে।অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা ইতিবাচক হলেও শেয়ারবাজারে মন্দাভাব থাকায় শেয়ারটির দাম আরও নেতিবাচক ধারায় ধাবিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ অক্টোবর অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার শেয়ারটির দাম হঠাৎ করে ১০৭ টাকায় ফ্লোর প্রাইসে এসে স্থান নেয়।তবে পরের দিন বুধবার শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস কিছুটা ভেদ করে ওপরে লেনদেন হয়। আগেরদিন শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইসে ক্রেতাশুন্য থাকলেও এদিন ফ্লোর প্রাইসের ওপরেই বিক্রেতাদের আনাগোনা ছিল।বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটির চারপাশে কেবল উন্নয়ন ও অগগ্রতির খবর। নেতিবাচক কোনো খবর নেই। বছরজুড়ে কোম্পানিটির মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাবও বিদ্যমান। অন্যদিকে, কোম্পানিটির বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অত্যাধুনিক জাহাজ। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ারদর কেন নেতিবাচক প্রবণতায়, তা বোধগম্য নয়।উল্লেখ্য, বিএসসি শেয়ারবাজারে ব্যাংক বাদে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম পিই রেশিও’র শেয়ার।সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৭.০৩ পয়েন্টে।