ডিএসইতে টানা তৃতীয় দিনেও সূচক ও লেনদেনে পতন
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে টানা তৃতীয় দিনেও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের চেয়ে গতকাল লেনদেন কমেছে। এছাড়া গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে সিংহভাগ সিকিউরিটিজের দর অপরিবর্তিত থাকতে দেখা গেছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ছয় হাজার ২১৮ দশমিক ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৪৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ কমে দুই হাজার ১৮৩ দশমিক ০৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৬০ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এদিন ৭ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৮৮৩টি শেয়ার ১ লাখ ৮ হাজার ৯৯১ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩১৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ৬১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল২৩৪টির দর। অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ২৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৭৪ দশমিক ০৮ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৪৮২ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ১৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৪৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৫টির দর।নতুন পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে এসকে ট্রিমসনিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের শুরুতে নতুন পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি মাসের শুরু থেকে এসকে ট্রিমস নতুন পণ্য, যেমন ব্যাকপ্যাক, ডাফল ব্যাগ, টোট ব্যাগ এবং লাগেজ উৎপাদন শুরু করেছে। আর এই পণ্য উৎপাদনের জন্য কোম্পানিটি মোট ৮টি লাইনে নতুন মেশিনারিজ স্থাপন করেছে। কোম্পানিটির ওই ৮টি লাইনের মধ্যে ২টি লাইনের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার ব্যাগ। আর বাকি ৬টি লাইনের প্রতিদিন তিন হাজার ব্যাগ উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে এসব লাইনের মধ্যে ২টি লাইনে উৎপাদন হচ্ছে তিন হাজার ব্যাগ এবং বাকি ৬ লাইনে উৎপাদন হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ পণ্য বা ব্যাগ। নতুন ব্যাগ উৎপাদনের পর তা রপ্তানি করে ২৫ শতাংশ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২৪ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৫৮ পয়সা। এছাড়া আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৯ পয়সা।৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশদেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ নভেম্বর।কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির আট কোটি ৪৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২১ দশমিক ৭৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৯ দশমিক ৩৮।