ডিএসইতে লেনদেনের ৪০ শতাংশই দুর্বল ১০ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ২৯৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তবে এই লেনদেনের ৪০ শতাংশ দুর্বল ১০ কোম্পানির। সব কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেন ১৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জেমিনি সী ফুড, ফুয়াং ফুড এবং এমারেল্ড অয়েলের মতো দুর্বল ও ছোট মূলধনের কোম্পানি রয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো, যে ১০ কোম্পানি শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় এসেছে, এর প্রায় সবকটিই দুর্বল। অর্থাৎ বাজারে দুর্বল কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য চলছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ২৯৭টি কোম্পানির ৬ কোটি ২০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৪১৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৯১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসই ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইর বাজারমূলধন ৭ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকায় স্থির রয়েছে। শীর্ষ ১০ কোম্পানি : ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হলো- জেমিনি সী ফুড, ফু-ওয়াং ফুড, সী পার্ল বিচ, শমরিতা হসপিটাল, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, ইস্টার্ন হাউজিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। এসব কোম্পানির কোনোটি অত্যন্ত দুর্বল। দু-একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও মূলধন একেবারে কম। অর্থাৎ চাইলেই খুব সহজে কারসাজি করে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো যায়। ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো শমরিতা হসপিটাল, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড, খান ব্রাদার্স পিপি, জিকিউ বলপেন, হাক্কানি পাল্প, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং ফুড, অ্যাম্বী ফার্মা, পিপলস ইন্স্যুরেন্স এবং নাভানা সিএনজি। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হলো প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট লিমিটেড, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুিব্রকেন্টস, এএমসিএল (প্রাণ), হাওয়া অয়েল টেক্সটাইল, আনলিমা ইয়ার্ন এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স।