ডিএসইর সহায়তায় সী পার্লের শেয়ার কারসাজি!
![ডিএসইর সহায়তায় সী পার্লের শেয়ার কারসাজি!](https://stocknewsbd.s3.ap-southeast-1.amazonaws.com/5152/54545.jpg)
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সী পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার কোন সংবেদনশীল তথ্য না থাকলেও ছয় মাসে প্রায় ছয় গুণের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে। ৪৪ টাকা থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫৬ টাকা বা ৫৮১ শতাংশ বেড়ে ৩০০ টাকায় লেনদেন হওয়ার পর জানা গেছে আরেকটি কোম্পানির অংশীদারত্ব কিনছে সী পার্ল কর্তৃপক্ষ। আর কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীদের কোন প্রকার সতর্ক করেনি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। অথচ অন্য কোন কোম্পানির শেয়ারদর ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেই সতর্ক বার্তা দিতে শুরু করে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।তাহলে কি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কোম্পানির জন্য আলাদা আলাদা নীতি মেনে চলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কতৃপক্ষ। নাকি কোন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি সাথে জড়িত থেকে এমন আচরণ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কতৃপক্ষ। প্রশ্ন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানিটির কোন সংবেদনশীল তথ্য না থাকলেও এমন অস্বাভাকি শেয়ারদর বৃদ্ধির পরও নিরব ডিএসই।সর্বশেষ (জুলাই- ডিসেম্বর’২২) দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২ টাকা ৭৮ পয়সা বা ৩৮৬ শতাংশ। হোটেল ব্যবসায় হঠাৎ এমন মুনাফাকেও অস্বাভাবিক। কোম্পানিটির শেয়ারদর বৃদ্ধির জন্যও এমন অস্বাভাকি মুনাফা দেখানো হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।হঠাৎ হোটেল ব্যবসা এত ভালো হয়ে উঠেনি যে, সী পার্লের শেয়ারদর ৪৪ টাকা থেকে ৩০০ টাকা হতে হবে। কোন প্রকার অদৃশ্য শক্তি এই কোম্পানিটির পেছনে কাজ করছে বলে কোম্পানিটির শেয়ারদর এমন অস্বাভাকি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ ক্ষতিয়ে দেখলেই সঠিত তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।বিডি ওয়েল্ডিংয়ে মালিকানা:সম্প্রতি সি পার্লকে বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডসের (বিডি ওয়েল্ডিং) ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। উৎপাদন বন্ধ ও বিগত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘জেড’ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা বিডি ওয়েল্ডিংয়ের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে বর্তমানে ৩১ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার আইসিবির কাছে আছে। সি পার্লের ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য আইসিবির কাছে থাকা সব শেয়ার সি পার্লের কাছে বিক্রি করে দেয়া হবে। বাকি ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার এমডি ও পরিচালকদের কাছ থেকে বিক্রি করা হবে।যদিও ওই কোম্পানিটি সরাসরি সি পার্ল অধিগ্রহণ করছে না। এর অংশীদারত্ব কিনবেন সি পার্লের পরিচালক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, তার ভাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল হক শামীম ও ভাতিজা সামিউল হক সাফা।বিষয়টি নিশ্চিত করে সি পার্লের কোম্পানি সচিব আজাহারুল মামুন বলেন, কোম্পানির মালিকানা আমরা অর্থাৎ সি পার্ল কিনছে এমন নয়, আমাদের মালিকপক্ষ ব্যক্তিগতভাবে কিনছেন।