ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ফিড থেকে অন্যত্র অর্থ পাঁচার

Date: 2022-11-22 16:00:11
ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ফিড থেকে অন্যত্র অর্থ পাঁচার
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ৭ বছরের মধ্যে শেষ ৫ বছর ধরে ব্যবসায় ধুকছে ন্যাশনাল ফিড মিল। আর এই কোম্পানিটি থেকেই অন্য কোম্পানিতে অবৈধভাবে টাকা সড়ানো হয়েছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।ন্যাশনাল ফিড মিল ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১৮ কোটি টাকা সংগ্রহের পরে ২ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ১ টাকার উপরে থাকে। এরপরে শুরু হয় পতন। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ০.৫৬ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.১৫ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ০.১৭ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ০.১৮ টাকা ও সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ০.০৮ টাকা ইপিএস হয়েছে। ব্যবসায় এমন দূর্বল কোম্পানিটি থেকে অন্য ২ কোম্পানিতে প্রায় ৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক হিসাবের নোট-৯.০১এ অ্যাডভান্স, ডিপোজিট ও প্রিপেমেন্টস হিসাবে ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। যা ব্যবসায়িক কোন স্বার্থ ছাড়াই অন্য কোম্পানি ন্যাশনাল হ্যাচারিতে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ও কর্ণপুর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।ন্যাশনাল ফিড মিল থেকে কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া বাকিতে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। যা এখন আদায় হচ্ছে না। এ কারনে ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আদায় হবে না মর্মে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা হিসাবের খাতা থেকে বাদ দিয়েছে। যাতে সমপরিমাণ কোম্পানির ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তাদের ২০২১-২২ অর্থবছরেও একইভাবে হিসাব থেকে আরও কিছু বাদ দেওয়া দরকার পড়লেও তা করেনি।বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ি, মুনাফার ৫ শতাংশ দিয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট অ্যান্ড পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করতে হয়। তবে ন্যাশনাল ফিডে এর বাহিরে গিয়ে ম্যানেজমেন্ট তাদের মতো করে এই ফান্ডের পরিমাণ নির্ধারন করেছে এবং সঞ্চিতি গঠন করেছে। তবে কোন প্রদান করেনি।

Share this news