ঢাকার শেয়ারবাজারে লোকসানি কোম্পানিই মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে

দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে বন্ধ ও নিম্নমানের কোম্পানিরই দাপট চলছে। গত সপ্তাহ শেষেও এ প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই সপ্তাহের শেষে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ তিন কোম্পানি ছিল যথাক্রমে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ও অলিম্পিক এক্সেসরিজ। তিনটিই মাঝারি মানের কোম্পানি। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ৩৫ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও অলিম্পিক এক্সেসরিজ লোকসানি কোম্পানি। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে নেই। তা সত্ত্বেও বাজারে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে। এর মধ্যে খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ারের দাম পাঁচ কার্যদিবসে ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ৫২ শতাংশ বেড়েছে। গত ২৯ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের নিচে, যা গত বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ টাকা। একই সময়ে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ১২ টাকা বা ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা। অলিম্পিক এক্সেসরিজের শেয়ারের দাম পাঁচ দিনে সাড়ে ৩ টাকা বা ৩৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে এটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের নিচে। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা।বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে এখন বন্ধ ও নিম্নমানের কোম্পানির শেয়ারের দাপট চলছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকিতে দুর্বলতার কারণে কারসাজিকারকেরা নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে এসব শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়াচ্ছেন। বন্ধ ও নিম্নমানের কোম্পানির দাপটের কারণে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও মাঝারি মানের কোম্পানির দাপট দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহ শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানিই ছিল মাঝারি মানের, অর্থাৎ ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত। কোম্পানিগুলো হলো ফু-ওয়াং ফুড, এমারেল্ড অয়েল, দেশবন্ধু পলিমার, বিচ হ্যাচারি ও ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স। এ পাঁচ কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেন ছিল ৪৭৫ কোটি টাকার, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় সোয়া ১৮ শতাংশ।